খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলায়। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি খুলনা আওয়ামিলীগ অফিসের হল রুমে সকাল ১০ টায় শুরু হয়। অনুষ্ঠিত ট্রেনিং কার্যক্রমে ট্রেইনারদের উৎসাহ প্রদান করতে এবং কার্যক্রমের সফলতার জন্য উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন,খুলনা মহানগর আওয়ামিলীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এড.সুজিত অধিকারী।

 

খুলনা মহানগর জেলা ও মহানগরের ট্রেইনারদের ট্রেনিং কার্যক্রম ০১-১১-২০২৩

নির্বাচনী প্রচারণার প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রশিক্ষণের শুরুতে বক্তারা সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে এই কার্যক্রমের প্রশংসা করে বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রশিক্ষণের সবচেয়ে সুন্দর দিক ছিলো নারী ও পুরুষের প্রায় সমান সংখ্যক উপস্থিতি।

 

খুলনা মহানগর জেলা ও মহানগরের ট্রেইনারদের ট্রেনিং কার্যক্রম ০১-১১-২০২৩

 

সকল প্রশিক্ষণার্থী সুশৃঙ্খল পরিবেশে কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণের মাধ্যমে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান,সহযোগী অধ্যাপক, সাবেক ছাত্রনেতা তালুকদার রাসেলের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। তারা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং বুঝিয়েছেন।তাদের ভিতরে আসলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং নেত্রী ও দলের প্রতি অগাত ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ দেখা গেছে।সকল ট্রেইনারদের রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজটিতে সংযুক্ত করানো হয়েছে এবং সবকিছুতে তাঁরা আপডেট থাকবেন।

 

খুলনা মহানগর জেলা ও মহানগরের ট্রেইনারদের ট্রেনিং কার্যক্রম ০১-১১-২০২৩

 

বার্তা প্রেরক
মোঃআরিফুল ইসলাম
আঞ্চলিক সমন্বয়ক
রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ, অফলাইন ক্যাম্পেইন।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, বিগত সময়ের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবারও প্রিন্ট মাধ্যম, অনলাইন মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইভেন্ট-ভিত্তিক প্রক্রিয়ায় প্রচার চালাবে। তবে এবার প্রচারের পাশাপাশি তারা ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য তারা স্বাতন্ত্র্য উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগটিকে তারা আভ্যন্তরীণ নাম দিয়েছে “অফলাইন ক্যাম্পেইন” যা মূলত প্রতিজন ভোটারের মুখোমুখি হয়ে প্রচার করা এবং তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে আনার একটি কার্যক্রম।

“অফলাইন ক্যাম্পেইন” এর আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতি মহল্লায় ২০০ জন ভোটারের জন্য একজন “ভোট প্রার্থনা কর্মী” বা “ক্যাম্পেইনর” মনোনীত করছে, যার দেশব্যাপী মোট সংখ্যা ৬ লক্ষ। এই কর্মীদের তারা নিয়মিত প্রশিক্ষণের মধ্যে রাখতে তৈরি করছে “প্রশিক্ষক”।

প্রতি ২০০ জন ক্যাম্পেইনর এর জন্য মনোনীত করা হচ্ছে ১ জন প্রশিক্ষক। এই প্রশিক্ষকরাও জেলা পর্যায়ে স্থানীয়। সেসব স্থানীয় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষনকৌল শিখিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সজ্জিত করতে তৈরি করা হয়েছে একটি ৩০০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের “মাস্টার ট্রেইনর” পুল।

জেলার নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে “ভোট প্রার্থনা কর্মী” বা “ক্যাম্পেইনর” তালিকা। উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে “প্রশিক্ষক” তালিকা। প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে “মাস্টার ট্রেইনর” পুল এর শিক্ষকরা। আবার এসব প্রশিক্ষকরা যখন যখন ভোট প্রার্থনা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তখন মেন্টর হিসেবে উপস্থিত থাকছেন “মাস্টার ট্রেইনর” পুলের একজন শিক্ষক।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার তার অনুষ্টানের জন্য দেয়া বার্তায় জানান – আমরা এবার প্রতিজন ভোটারের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং দেশের মানুষের জন্য তার ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা তুলে ধরে ভোট চাইবো। প্রতিজন ভোটারের বাড়িতে যাবে আমাদের একজন ক্যাম্পেইনর। ক্যাম্পেইনর দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি ভোটারের সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে। আমরা বিশ্বাস রাখি ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ক্যাম্পেইনের কর্মকৌশল বর্ণনা করেন ক্যাম্পেইনের ফোকাল পয়েন্ট তথ্য প্রযুক্তিবিদ “সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর”। তিনি বলেন “ক্যাম্পেইনের হাজারো নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার কোন ভালো বিকল্প তৈরি হয়নি। ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়া আজও সবচেয়ে কার্যকর টুল। আমরা সেই টুলটিকে আরও সুসংগঠিত ভাবে প্রযুক্তির সহায়তায় কাজে লাগাতে কাজ করছি”

অনুষ্ঠানে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সহকারী ফোকাল পয়েন্ট সৈয়দ ইমাম বাকের। তিনি বলেন “সংসদ নির্বাচনকে আমরা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের মতো আন্তরিক, আকর্ষক ও উৎসবমুখর করতে চাই। এই প্রশিক্ষণের পরে আমাদের প্রতিজন ভোট প্রার্থনা কর্মী সেই লক্ষেই কাজ করবেন।

 

অনুষ্ঠানের ফটো গ্যালারী:

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment